সংস্কৃতি রক্ষা করেনি মুশফিক, শেষমেশ এই উইকেটরক্ষক ব্যাটারকে নিয়ে বিস্ফোরক নির্বাচক রাজ্জাক

বাংলাদেশের যে কয়জন সাবেক ক্রিকেটার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিদায় নিয়েছেন, তাদের প্রায় সবাই মাঠের বাইরে থেকে ক্রিকেটকে বিদায় বলেছেন। এখানে একমাত্র ব্যাতিক্রম ছিলেন মাশরাফি বিন মর্তুজা ছাড়া।




তবে ম্যাশের পথে হাঁটতে পারেননি সদ্য আর্ন্তজাতিক টি-টোয়েন্টিকে বিদায় বলা মুশফিকুর রহিম। এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার এশিয়া কাপের ম্যাচেই নিজের অবসরের ঘোষণা দিলে আরও ভালো কিছু হতো বলে মনে করেন আব্দুর রাজ্জাক। বিসিবির এই নির্বাচকের মতে, মাঠ থেকে বিদায় নিতে পারাটা বাড়তি সম্মানের।

গত কয়েক মাস ধরেই টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বাজে ফর্মের কারণে সমালোচিত হচ্ছিলেন মুশফিক। ব্যাট হাতে ধীরগতির ইনিংসের পাশাপাশি গ্লাভস হাতেও সুবিধা করতে পারছিলেন না তিনি। সর্বশেষ এশিয়া কাপেও দুই বিভাগেই পারফর্ম করতে ব্যর্থ ছিলেন মুশফিক।

এমনকি গত এক বছরে ১৬টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে ১৬.৭৬ গড় আর ৯২.৩৭ স্ট্রাইকরেটে স্রেফ ২১৮ রান করেছেন মুশফিক। তার পুরো টি-টোয়েন্টি পরিসংখ্যানও হতাশাময়। ১০১ ম্যাচ খেলে ১৯.৪৮ গড় আর ১১৫.০৩ স্ট্রাইকরেটে করেছেন ১৫০০ রান।




রাজ্জাক বলেন, ‘আমি মনে করি মাঠ থেকে বিদায় নিতে পারলে তো খুবই ভালো। যেই জাতীয় দলে খেলে সেই কিছু না কিছু করেছে, অবশ্যই সবাই মাঠ থেকে বিদায় নেওয়া ডিজার্ভ করে। এটা যার যার সিদ্ধান্ত। মুশফিক তার সিদ্ধান্ত এভাবে জানিয়েছে। যদি তার মনে অবসরের চিন্তা

এসে থাকবে তাহলে এশিয়া কাপের মধ্যে বলে দিলে খারাপ হতো না। যেহেতু সে এটা বলবেই।সোমবার মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মুশফিকের বিদায় নিয়ে গণমাধ্যমকে রাজ্জাক বলেন, মাঠ থেকে বিদায় নেওয়ার সংস্কৃতিটা চালু করার সুযোগ ছিল মুশফিকের সামনে। বাংলাদেশের ক্রিকেটে

এমন সংস্কৃতি চালু হলে এটা দেশের ক্রিকেটের জন্যই ভালো হবে।বিসিবির এ নির্বাচক বলেন, ‘বলার যদি ইচ্ছা ছিল ম্যাচের মধ্যে বললে খারাপ হতো না। সংস্কৃতিটা চালু হতো। আমরা দেখেছি অন্য দেশের বড় বড় খেলোয়াড়রা মাঠ থেকে ধন্যবাদ জানিয়ে দেয়। আমাদেরও এই সংস্কৃতিটা হলে ভালো হয়।



Related articles

Comments

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Latest articles