কাহালু উপজেলায় আকস্মিকভাবে বিপুল মাছসহ একটি পুকুরের পুরো পানি উধাও হয়েছে। পুকুরের মাঝে গোলাকারভাবে মাটি ধসে সৃষ্টি হয়েছে একটি কূপ। এ নিয়ে আশপাশের গ্রামজুড়ে চলছে নানা গুঞ্জন। শত শত কৌতূহলী লোকজন ভিড় করছেন পুকুরের পাশে।
ঘটনাটিকে নানাভাবে উপস্থাপন করে অনেকে অলৌকিক হিসাবে বলারও চেষ্টা করছেন। কেউবা আবার পুকুরের কূপ থেকে পানি ও কাদা সংগ্রহ করে ব্যাধি নিরাময়ের জন্য নিয়ে যাচ্ছে। সব মিলিয়ে পুকুর ঘিরে এলাকাজুড়ে চলছে তোলপাড় ও চাঞ্চল্য।
বগুড়ার শহর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরের কাহালু উপজেলার পাইকড় ইউনিয়নের বাগইল গ্রাম। এর পশ্চিমপাড়ায় আলোচিত পুকুরটি। এর আশপাশে আরও ৭টি পুকুর রয়েছে।
প্রায় এক বিঘার এই পুকুরটির মালিক শফিকুল ইসলাম ভুষির ব্যবসা করেন। ১৩ জুলাই হঠাৎ করে পুকুরের মাঝখান থেকে পানি প্রায় ৪/৫ ফুট উচ্চতায় লাফিয়ে ওঠে। পুুকুরের পাশে বাঁশের মাচায় বসেছিল ৮ম শ্রেণীর ছাত্র নাফিউল ইসলাম ও ওমর ফারুক।
পুকুরের পানি হঠাৎ করে কয়েক ফুট উচ্চতায় লাফিয়ে ওঠায় তারা ভয় পেয়ে দৌড় দেয়। এর কয়েকদিন পর সোমবার রাতের যে কোন সময় পুকুরের সব পনি মাছসহ উধাও হয়ে পুকুরের মাঝে একটি কূপ আকারের গর্ত সৃষ্টি হয়।
মঙ্গলবার ভোরে মসজিদের মোয়াজ্জিন সাইফুল ইসলাম মোল্লা প্রথম ঘটনাটি দেখতে পেয়ে পুকুর মালিককে বিষয়টি জানান। এরপর বিষয়টি নানা গল্পে ছড়াতে থাকে। এ বিষয়ে বগুড়া জেলা মৎস্য কর্মকর্তা সরকার আনোয়ারুল কবির আহম্মেদ জানান,
হঠাৎ করে পুকুরের পানি শুকিয়ে সৃষ্ট কূপে মাছ চলে যাওয়ার কোন ঘটনা তিনি কখন শোনেননি। পুকুরের মাটিতে চাপজনিত কোন শূন্যতা থেকে কূপের সৃষ্টি হতে পারে।