নারী সহযাত্রীর শরীরে মূত্রত্যাগের ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তি শঙ্কর মিশ্রকে অবশেষে গ্রেপ্তার করেছে দিল্লি পুলিশ। শুক্রবার রাতে বেঙ্গালুরু থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পরে দিল্লির আদালত তাকে সরাসরি ১৪ দিনের জন্য আদালতের হেফাজতে নেওয়ার আদেশ দেয়। আদালত বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আর পুলিশের হেফাজতে নেওয়ার প্রয়োজন নেই।
শঙ্কর মিশ্র পলাতক ছিলেন এবং তাকে ধরার জন্য এয়ারপোর্টে সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। দিল্লির পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কর্নাটকে অবস্থান করে তাকে শনাক্ত করে অবশেষে ছয় সপ্তাহ পর তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। খবর এনডিটিভির
এর আগে এ ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তি শঙ্কর মিশ্রকে চাকরিচ্যুত করেছে ওয়েলস ফার্গো কোম্পানি। ওয়েলস ফার্গো নামের মার্কিন আর্থিক পরিষেবা সংস্থা শুক্রবার এক বিবৃতিতে জানায়, শঙ্কর মিশ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলি ‘খুবই বিরক্তিকর’।
গত ২৬ নভেম্বর নিউইয়র্ক থেকে দিল্লির পথে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি উড়োজাহাজে অভিযুক্ত ব্যক্তির পাশে বসেছিলেন এক নারী যাত্রী। দুজনই বিজনেস ক্লাসে ভ্রমণ করছিলেন। খাবার খাওয়ার পর উড়োজাহাজটিতে আলো কমিয়ে দেওয়া হয়। এ সময় অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি পাশে বসা নারীর শরীরে মূত্র ত্যাগ করেন।
ভুক্তভোগী ওই নারী এ নিয়ে ক্রুর কাছে অভিযোগ করেন। বলেন, তার পোশাক, জুতা ও ব্যাগ প্রস্রাবে ভিজে গেছে। ক্রু ওই নারী যাত্রীকে এক সেট জামা ও স্লিপার দেন। সেগুলো পরে ওই নারীকে অভিযুক্ত ব্যক্তির পাশেই বসতে হয়। তখন উড়োজাহাজটিতে অন্য আসন ফাঁকা ছিল না।
এ ঘটনা জানাজানি হলে ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল এভিয়েশন ওই ফ্লাইট পরিচালনাকারী এয়ার ইন্ডিয়াকে একটি নোটিশ দেয়। বৃহস্পতিবার সেই নোটিশের জবাব দিয়েছে এয়ার ইন্ডিয়া। এতে গত ২৬ নভেম্বর নিউইয়র্ক থেকে দিল্লিগামী বিমানে কী ঘটেছিল, তার বিস্তারিত বর্ণনা দেওয়া হয়।
অভিযুক্ত পুরুষ যাত্রীর নাম প্রকাশ না করে এয়ার ইন্ডিয়ার চিঠিতে বলা হয়েছে, অশোভন আচরণ করায় ওই ব্যক্তি এক মাস এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইটে চলাচল করতে পারবেন না। এ ছাড়া এ ঘটনায় একটি অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি গঠন হয়। এর পর শুক্রবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।