আজীবন নিষিদ্ধ করা নির্মমতা, আমি অপরাধী নই : ওয়ার্নার

বল টেম্পারিং কেলেঙ্কারির চার বছর পর অবশেষে কঠোর আইনে পরিবর্তন এনেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)। এতে ডেভিড ওয়ার্নারের সামনে অস্ট্রেলিয়ার নেতৃত্ব পাওয়ার সম্ভাবনা আরও উজ্জ্বল হলো।




এক বিবৃতিতে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া বলেছে, ‘পরিবর্তনের ফলে এখন ক্রিকেটার এবং সাপোর্ট স্টাফরা বড় শাস্তি মওকুফের বা মেয়াদ কমানোর জন্য আবেদন করতে পারবেন। ’

বল টেম্পারিংয়ে যুক্ত থাকার অপরাধে স্টিভ স্মিথ, ডেভিড ওয়ার্নার এবং ক্যামেরন বেনক্রফটকে কঠিন শাস্তি দিয়েছিল সিএ।

এক বছরের জন্য সব ধরনের ক্রিকেট থেকে স্মিথ-ওয়ার্নারকে নিষিদ্ধ করা হয়। বেনক্রফট নিষিদ্ধ হন ৯ মাসের জন্য। সেইসঙ্গে তাদের নেতৃত্বও আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়। অর্থাৎ, অস্ট্রেলিয়ার কোনো স্তরের ক্রিকেটেই তারা আর নেতৃত্ব দিতে পারবেন না।




এবার এই নিষেধাজ্ঞার শাস্তি থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য ওয়ার্নারের সামনে আবেদন করার সুযোগ সৃষ্টি হলো। এতদিন পর্যন্ত ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া কাউকে আজীবন নির্বাসিত করলে সেই শাস্তি মওকুফের কোনো সুযোগ ছিল না।

সম্প্রতি পরিবর্তন করা হয়েছে এই আইন। এখন আজীবন শাস্তির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ক্রিকেটার, কোচ বা কর্তা নির্দিষ্ট সময়ের পর শাস্তি মওকুফের আবেদন করতে পারবেন। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির সদস্যরা সব দিক খতিয়ে দেখে যদি মনে করেন, তাহলে শাস্তি হ্রাস কিংবা বাতিলও করতে পারবেন। নতুন এই নিয়মের সুযোগ নিয়ে নেতৃত্বের নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্ত হতে পারেন ওয়ার্নার।

আসলে ওয়ানডে থেকে অ্যারন ফিঞ্চ হঠাৎ অবসর ঘোষণা করায় তৈরি হয় সমস্যা। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে কে অস্ট্রেলিয়াকে নেতৃত্ব দেবেন, সেটা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়। টেস্ট দলের অধিনায়ক প্যাট কামিন্স জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি সাদা বলের ক্রিকেটে নেতৃত্বের দায়িত্ নিতে আগ্রহী নন।




পরে তাকেই অনেকটা জোর করে অধিনায়ক করা হয়। ডেভিড ওয়ার্নার নিজে বেশ কয়েকবার অধিনায়ক হতে চেয়েছিলেন। সাবেক ক্রিকেটাররাও তাকে সমর্থন দেন। কিন্তু আইনের কারণে সেটা হচ্ছিল না। এবার বদলে গেল আইন।

Related articles

Comments

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সর্বাধিক পঠিত